ব্যাডমিন্টন খেলার নিয়ম

ডিসেম্বর মানে শীতের আনাগোনা। বিকেল হলেই কমতে শুরু করে তাপমাত্রা। শীতের হাওয়া গায়ে লাগতে শুরু করে। এছাড়া আমাদের দেশের শীতের আগমন টের পাওয়ার আরেকটি প্রচলিত চিত্র হচ্ছে সন্ধ্যা রাতে ব্যাডমিন্টন খেলা।

ব্যাডমিন্টন-খেলার-নিয়ম

 শীত প্রধান দেশে ব্যাডমিন্টন অনেক জনপ্রিয় খেলা। তবে শুধু শীত প্রধান দেশ না বিশ্বের প্রায় সব দেশে এই খেলাটির জনপ্রিয়তা অত্যাধিক। ব্যাডমিন্টন খেলার অনেক নিয়ম রয়েছে। আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ব্যাডমিন্টন খেলার নিয়ম সম্পর্কে জানব।

পেজ সূচিপত্রঃ ব্যাডমিন্টন খেলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।

ব্যাডমিন্টন খেলার নিয়ম

শরীর ও মন সুস্থ রাখার জন্য খেলাধুলা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি শারীরিক চর্চার অঙ্গ হিসেবে বাংলাদেশে স্কুল সিকে বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত এই অলিম্পিক খেলা ব্যাডমিন্টন আমাদের দেশের মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এর জনপ্রিয়তার আরেকটা প্রধান কারণ হলো এই খেলা ব্যক্তিগত কিংবা দলগত ভাবে খেলা যায়। আধুনিক টেবিলে যেমন সমসাময়িকভাবে শারীরিক কসরতের জন্য গণনা করা হয়, ব্যাডমিন্টনের জন্য সেহেতু পুরো সমসাময়িক বিশ্বে এটি সমানভাবে প্রসংশা ও জনপ্রিয়তা অবদান জানানো হয়েছে, সেখানে দুজন বা তারাধিক ব্যাডমিন্টন উপযোগী স্থান হলে সংগ্রামের পুরস্কার হিসেবে স্পোর্টস তথা ব্যাডমিন্টন মিডিয়ার উজ্জ্বল উপাধি অর্জন করে।

মানুষের জীবনে খেলাধুলার একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে। এটি শুধুমাত্র ব্যায়াম নয়, মনকে সতেজ করে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। শখের জন্য যতটুকু ব্যায়ামের যায় বলা যেতে পারে, তার মাঝে ব্যাডমিন্টন একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ইনডোর খেলা, যা সারা বিশ্বের প্রায় সব বয়সের মানুষ আগে থেকে পছন্দ করে। এর এত জনপ্রিয়তার কারণ হলো, এটা সহজ সরঞ্জাম, অল্প জায়গা ও কম খরচে খেলা যায়। কিন্তু কোনো খেলা সঠিকভাবে উপভোগ করার জন্য ব্যাডমিন্টন খেলার নিয়ম কানুন জানা দরকার।

ব্যাডমিন্টন-খেলার-নিয়ম
ব্যাডমিন্টন খেলায় দুইজন খেলোয়াড় (সিঙ্গেলস), বা চারজন (ডাবলস) একত্রে খেলতে পারেন। ইনডোর এই গেম এর প্রধান উদ্দেশ্য 'শাটলক' প্রতিপক্ষ এর কোর্টে ধাক্কা দিয়ে ফেলা, যাতে পাল্টা শট মারার কোনো সুযোগ না থাকে। আন্তর্জাতিকভাবে সকল হর্নবল নেট, এবং কোর্টের নির্দিষ্ট মাপ সহ নেটের উচ্চতা সব দেশের জন্য একই।  সিঙ্গেলস খেলার কোর্ট একটু সরু আর ডাবলস খেলার কোর্ট তুলনামূলক চওড়া হয়।

প্রতিযোগিতা ৩ স্টেপে বিভক্ত হয়, প্রত্যেক স্টাপে ২১ অঙ্ক অর্জন করতে হয়। প্রথম হিসাবে ২১ পয়েন্ট অর্জনকারী গেম জিতে যায়। ২০-২০ স্কোরে ২ পয়েন্ট জয়ের ব্যবধান রাখতে হয়। সর্বোচ্চ ৩০ পয়েন্ট পর্যন্ত খেলা যেতে পারে। পরাজিত দলকে ১’। চিপা সেজিং যোগ করা বাকি ১ মিনিট সময় অপেক্ষা করতে হয়, নিতে হয় সেলার সাথে কাটবে।

ব্যাডমিন্টন খেলার পয়েন্ট

প্রতিটি ম্যাচের জন্য সাধারণত খেলাটি ৩ গেম বা সেটে খেলা হয়। প্রতিটি সেটে এক বিজয়ী একক বা দলীয়ভাবে ২১ পয়েন্ট অর্জন করলে সেটা গোনা হয় কিন্তু প্রতিযোগীকে পরাজিত করার জন্য অবশ্যই ২১ থেকে ২ পয়েন্ট বেশি থাকতে হবে, অর্থাৎ যদি স্কোর ২০-২১ হয়, তখন খেলাটি একপাক্ষিক ২ পয়েন্ট সীমার মধ্যে এগিয়ে কি গ্রাস করবেন তা স্থিতিশীল রাখতে ১-২০ হবে। কিন্তু এর কিছু সীমাবদ্ধতা আছে যেগুলি যদি খেলোয়াড় ২-২ ২৯ এবং ২৯ স্কোর শ্রেণীকক্ষে হন তখন অপর একটি খেলোয়াড় একটি পয়েন্ট পেয়ে ৩০- ২৯ স্কোর স্থাপন করলে সেট জিতবেন, সেটের সর্বোচ্চ ৩০ পয়েন্টের সীমা।

ব্যাডমিন্টন-খেলার-নিয়ম

প্রতিটি পয়েন্টই খেলোয়াড়দের চেষ্টার ফলাফল এবং এটি পাওয়া যায় বিভিন্নভাবে। যদি প্রতিপক্ষ শাটলকক বা নেট কোর্টের বাইরে দিয়ে লাগায় সার্ভ দল একই ভুল করেন উভয় পক্ষে পয়েন্ট বণ্টন করা আছে। এমনকি নিজের সার্ভ থেকেও সরাসরি পয়েন্ট পাওয়া যায়, কারণ প্রতিটি সার্ভিসের পরই পয়েন্ট গণনা করা হয় এবং এরপর সার্ভের পালা পরিবর্তিত হয়। ব্যাডমিন্টনে এখনকার নিয়ম অনুযায়ী, যে দলে বা খেলোয়াড়ের পয়েন্ট হয়, পরবর্তী সার্ভ তারাই করে। সার্ভ করার নিয়ম, কোর্টের ভাগ, এবং পজিশন নির্ধারিত হয় পয়েন্টের সংখ্যা ও খেলোয়াড়ের সারির উপর ভিত্তি করে।

যারা খেলোয়াড় বা দলকে দুটি সেট জিততে সক্ষম হয়, তারা পুরো ম্যাচের বিজয়ী হিসেবে ধরা হয়। সুতরাং, একটি ম্যাচ জিততে হলে অবশ্যই অন্তত দুটি সেট জিততে হবে। প্রতিটি পয়েন্ট অর্জন কেবল স্কোর বাড়ায় না, বরং খেলার উপর একটি মানসিক প্রভাবও ফেলে।

ব্যাডমিন্টন খেলার কোর্টের মাপ

ব্যাডমিন্টন একটি জনপ্রিয় র‍্যাকেট খেলা, যা বিশ্বব্যাপী খেলোয়াড় ও দর্শকদের মধ্যে সমানভাবে জনপ্রিয়। এই খেলাটি খেলার জন্য একটি নির্দিষ্ট মাপের কোর্ট বা মাঠের প্রয়োজন হয়, যা আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন (BWF) দ্বারা নির্ধারিত। ব্যাডমিন্টন কোর্টের সঠিক মাপ জানলে খেলা আরো সুশৃঙ্খল ও প্রতিযোগিতামূলক হয়।

ব্যাডমিন্টন কোর্ট সাধারণত আড়াআড়ি ভাবে দুটি অংশে বিভক্ত থাকে, যাতে একক ও দ্বৈত খেলার জন্য আলাদা আলাদা জায়গা নির্ধারিত থাকে। সম্পূর্ণ কোর্টের দৈর্ঘ্য হয় ১৩.৪০ মিটার (৪৪ ফুট) এবং প্রস্থ হয় ৬.১০ মিটার (২০ ফুট)। তবে একক খেলায় প্রস্থ কিছুটা কম হয়, যা ৫.১৮ মিটার (১৭ ফুট) পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে। এই কোর্টটি সাধারণত একটি ইনডোর হল বা ঘরের ভিতরে তৈরি করা হয়, কারণ বাতাসের প্রবাহ খেলায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।কোর্টের মাঝখানে একটি জাল থাকে, যার উচ্চতা মাটির উপর থেকে ১.৫৫ মিটার (৫ ফুট ১ ইঞ্চি) পাশের পোস্টের কাছে এবং মাঝখানে ১.৫২৪ মিটার (৫ ফুট)। এই জালটি খেলোয়াড়দের দুই পক্ষকে আলাদা করে এবং খেলাকে প্রতিযোগিতামূলক করে তোলে।

ব্যাডমিন্টন কোর্টে সার্ভিস এরিয়া দুটি ভাগে বিভক্ত ডান ও বাম সার্ভিস কোর্ট। দ্বৈত খেলায় সার্ভিস এরিয়া কিছুটা ছোট হয়, কারণ এর পিছনের লাইনটি সামনে চলে আসে। আবার একক খেলায় সার্ভিস কোর্ট কিছুটা লম্বা হয়। প্রতিটি সার্ভিস কোর্ট আবার সামনে ও পাশে নির্দিষ্ট সীমারেখা দ্বারা চিহ্নিত থাকে।কোর্টের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ লাইন রয়েছে যেমনঃ মিডলাইন (মধ্য রেখা), শর্ট সার্ভিস লাইন, লং সার্ভিস লাইন (একক ও দ্বৈতের জন্য ভিন্ন), এবং সাইড লাইন (একক ও দ্বৈতের জন্য আলাদা)। এই রেখাগুলো খেলার নিয়ম নির্ধারণে সহায়ক এবং খেলার সময় খেলোয়াড়দের অবস্থান ও শট ঠিক করতে সাহায্য করে।

ব্যাডমিন্টন খেলার টাই লেখার নিয়ম

টাই লেখার ক্ষেত্রে প্রথমেই নির্ধারণ করা হয় কোন খেলোয়াড় বা দল সার্ভ করছে। স্কোর লেখার সময় সাধারণত প্রথমে সার্ভারের স্কোর ও পরে প্রতিপক্ষের স্কোর লেখা হয়। যেমন যদি প্রথম দল সার্ভ করছে এবং স্কোর হয়১৫-২০, তাহলে টাই লেখা হবে ১৫-১২। এই নিয়ম অনুসরণ করে স্কোরবোর্ডে ও রিপোর্টে ফলাফল উপস্থাপন করা হয়, যা ম্যাচ বিশ্লেষণে সাহায্য করে। 

আরো পড়ুনঃ হার্টের ব্লক দূর করার ব্যায়াম

প্রতিটি গেমে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই খেলা সম্পন্ন করার চেষ্টা করা হয়। সাধারণত একটি গেম ১৫ থেকে ২৫ মিনিট স্থায়ী হয় এবং পুরো ম্যাচ শেষ হতে সময় লাগে প্রায় ৪০ থেকে ৬০ মিনিট। মাঝপথে খেলার গতি বজায় রাখতে ও খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিতে নির্দিষ্ট বিরতির ব্যবস্থাও রাখা হয়। যখন একজন খেলোয়াড় ১১ পয়েন্টে পৌঁছে যায়, তখন ১ মিনিটের বিরতি দেওয়া হয়। এছাড়া একটি গেম শেষ হলে ২ মিনিটের বিরতি অনুমোদিত।

টুর্নামেন্ট বা প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচগুলোতে টাই তৈরি করা হয় নির্দিষ্ট শিডিউলের ভিত্তিতে। প্রতিটি ম্যাচের জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা হয়, যেমন সকাল ৯টা থেকে ম্যাচ ১, সকাল ১০টা থেকে ম্যাচ ২ ইত্যাদি। প্রতিটি টাই-এ খেলোয়াড়ের নাম, ম্যাচ নম্বর এবং কোর্ট নম্বর উল্লেখ করা হয় যেন ভালোভাবে আয়োজন পরিচালনা করা যায়। স্কোরবোর্ডে প্রতিটি গেমের স্কোর আলাদাভাবে লিখে রাখা হয় যাতে দর্শক ও খেলোয়াড় উভয়েই খেলার অগ্রগতি সহজে বুঝতে পারে। যেমন প্রথম গেমে যদি একজন খেলোয়াড় ২১-১৮ তে জয়লাভ করে, দ্বিতীয় গেমে ১৯-২১ তে হেরে যায় এবং তৃতীয় গেমে ২১-১৭ তে আবার জেতে, তাহলে ম্যাচ রিপোর্টে তিনটি গেমের স্কোর ধারাবাহিকভাবে উপস্থাপন করা হয়।

ব্যাডমিন্টন খেলার কোট কাটার নিয়ম

ব্যাডমিন্টন খেলাটি সঠিক নিয়মে উপভোগ করতে হলে একটি নির্দিষ্ট মাপ অনুযায়ী কোর্ট তৈরি করতে হয়। একটি ব্যাডমিন্টন কোর্টের দৈর্ঘ্য হতে হবে ১৩.৪ মিটার এবং চওড়া ৬.১ মিটার। সিঙ্গেলস খেলার জন্য চওড়া হয় ৫.১৮ মিটার। কোর্টটি এমনভাবে কাটা হয় যেন খেলোয়াড়রা সহজে সার্ভিস ও রিটার্ন করতে পারেন। কোর্টের প্রতিটি রেখা ৪ সেন্টিমিটার প্রশস্ত হতে হয়।

ব্যাডমিন্টন-খেলার-নিয়ম

কোর্টে দুটি সার্ভিস এরিয়া থাকে এবং মাঝখানে একটি নেট বসানো হয় যার উচ্চতা মাঝখানে ১.৫২ মিটার এবং দুই প্রান্তে ১.৫৫ মিটার। ব্যাডমিন্টন কোর্টে তিনটি লাইন থাকে সার্ভিস লাইন, বাউন্ডারি লাইন, সেন্টার লাইন। প্রতিটি রেখা ৪ সেন্টিমিটার চওড়া এবং সাধারণত সাদা বা হলুদ রঙে আঁকা হয়, যাতে খেলোয়াড় এবং রেফারি সহজে চিনতে পারেন। কোর্টের প্রতিটি পাশে দুটি করে সার্ভিস বক্স থাকে, যা সার্ভিস দেওয়ার সময় সঠিক পজিশন নির্ধারণে সহায়তা করে। সার্ভিস বক্স ও লাইনগুলো যতটা সম্ভব নিখুঁতভাবে আঁকতে হয়।

ব্যাডমিন্টন খেলার কোর্টের মাপ বাংলাদেশ

বাংলাদেশে ব্যাডমিন্টন খেলার কোর্ট সাধারণত আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী তৈরি করা হয়, বিশেষ করে স্কুল, কলেজ, ক্লাব বা প্রতিযোগিতার জন্য ব্যবহৃত হলে। একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য ব্যাডমিন্টন কোর্টের দৈর্ঘ্য ১৩.৪০ মিটার (৪৪ ফুট) এবং প্রস্থ ৬.১০ মিটার (২০ ফুট)। একক খেলার জন্য প্রস্থ কিছুটা কমে ৫.১৮ মিটার (১৭ ফুট) হয়ে থাকে। এই কোর্টটি দুই ভাগে বিভক্ত করা হয় একটি নেটের মাধ্যমে, যেটি কোর্টের ঠিক মাঝখানে স্থাপন করা হয়।

ব্যাডমিন্টন-খেলার-নিয়ম

নেটের উচ্চতা নির্ধারিত থাকে মাটির উপর থেকে ১.৫৫ মিটার (৫ ফুট ১ ইঞ্চি) পাশে এবং মাঝখানে ১.৫২ মিটার (৫ ফুট)। এটি টানটানভাবে বাঁধা হয় যাতে বল এর মধ্যে দিয়ে না যায় এবং খেলোয়াড়দেরও স্পষ্টভাবে খেলার লাইন নির্ধারণে সহায়তা করে। বাংলাদেশে বিভিন্ন জায়গায় ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য অস্থায়ীভাবে বাঁশ বা দড়ি দিয়ে নেট তৈরি করলেও, উন্নত মানের কোর্টে সাধারণত স্ট্যান্ডার্ড সিন্থেটিক বা নাইলনের নেট ব্যবহৃত হয়।

একটি ব্যাডমিন্টন কোর্টে বিভিন্ন লাইনের গুরুত্ব রয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে খেলার এলাকা নির্ধারিত হয়। যেমন, সার্ভিস লাইনের দূরত্ব নেট থেকে ১.৯৮ মিটার (৬.৫ ফুট), যা সার্ভিস দেয়ার সময় খেলোয়াড়দের সীমা নির্ধারণ করে। আবার ডাবলস খেলার জন্য সাইড লাইন এবং ব্যাক বাউন্ডারি লাইন আলাদা থাকে। ডাবলস কোর্টে খেলোয়াড়দের চলাফেরা ও বলের গতি বুঝে লাইনগুলোতে খেলার কৌশল নির্ধারণ করা হয়। বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় এই লাইনের সীমা অনেক সময় খালি চোখে আন্দাজ করে করা হয়, কিন্তু শহরের ক্লাব বা প্রতিযোগিতার কোর্টে চুন বা সাদা টেপ দিয়ে এগুলো নির্দিষ্টভাবে আঁকা হয়।

আরো পড়ুনঃ চিকন হওয়ার ১০টি উপায়

বাংলাদেশে ব্যাডমিন্টন সাধারণত শীতকালীন খেলাধুলার মধ্যে অন্যতম। কারণ এই সময় আবহাওয়া অনুকূলে থাকে এবং সন্ধ্যায় বাতাস কম থাকে, যা ব্যাডমিন্টনের জন্য উপযুক্ত। অনেক এলাকায় অস্থায়ী কোর্ট তৈরি করে সন্ধ্যার পর আলোর নিচে খেলা হয়। গ্রামে বাঁশ ও দড়ির সাহায্যে কোর্ট তৈরি করা হলেও শহরে ইনডোর কোর্টে সিন্থেটিক ফ্লোর, নির্দিষ্ট আলো এবং উন্নত মানের র‍্যাকেট-শাটল ব্যবহার করা হয়।

বাংলাদেশে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং এসব ক্ষেত্রে কোর্টের মাপ আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী রাখার চেষ্টা করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ, প্রতিযোগিতা ও অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। তারা অনেক জায়গায় আন্তর্জাতিক মানের কোর্ট তৈরি করেছে, যেখানে খেলোয়াড়রা প্রশিক্ষণ নিতে পারে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে।

এছাড়াও বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যাডমিন্টনের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। শুধু শহরেই নয়, গ্রামীণ এলাকাতেও খেলাটি বেশ জনপ্রিয়। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে এই খেলাটি একটি উত্তেজনাপূর্ণ বিনোদনের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। সন্ধ্যার পর মাঠে বা বাড়ির উঠানে অস্থায়ী কোর্ট তৈরি করে ছেলে-মেয়েরা একত্রে এই খেলা উপভোগ করে।

পাঠকের শেষ কথা

ব্যাডমিন্টন খেলার নিয়ম সবার জন্য সহজবোধ্য হলেও খেলার কৌশল, ফাউল নিয়ম, সার্ভিস ও পয়েন্ট গণনার পদ্ধতি ভালোভাবে জানা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি সঠিক কোর্টের মাপ, উপযুক্ত নেটের উচ্চতা এবং সুনির্দিষ্ট সার্ভিস জোন ছাড়া খেলা সঠিকভাবে উপভোগ করা যায় না।

উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম ব্যাডমিন্টন খেলার নিয়ম সম্পর্কে । যেকোনো খেলায় নিয়ম মানা যেমন একটি নৈতিক দায়িত্ব, তেমনি এটি খেলায় সৌন্দর্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখে। ব্যাডমিন্টনের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয়। যদি আমরা নিয়ম জানি, মানি এবং চর্চা করি, তবে এ খেলাটি হতে পারে একটি সুস্থ সমাজ গঠনের শক্তিশালী হাতিয়ার। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে আরও দক্ষ ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় তৈরি হবে।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url