আখরোট খাওয়ার উপকারিতা

আখরোট খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। বাদাম কে না খেতে পছন্দ করে। আর যারা বাদাম পছন্দ করেন, তাদের কাছে পরিচিত নাম হল আখরোট। তবে ফ্যাট আছে মনে করে অনেকে এ বাদাম খায় না। এতে থাকা ফাইবার প্রোটিন ও ফ্যাটি এসিড নানাভাবে শরীরের উপকার করে থাকে।
আখরোট-খাওয়ার-উপকারিতা

আখরোট খেলে ক্যান্সার হ্রদরোগ সারানোর পাশাপাশি সাহায্য করে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ঠিক রাখতেও কালো কিংবা বাদামি দুই ধরনের আখরোটই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তাই জেনে নিন নিয়মিত আখরোট খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। 

পেজ সূচিপত্র: আখরোট খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা জেনে নিন

আখরোট খাওয়ার উপকারিতা

আখরোট একটি পুষ্টিকর খাবার, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার বয়ে আনে। আখরোট খাওয়ার উপকারিতা অনেক। এতে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন এবং মিনারেল। প্রতিদিন অল্প পরিমাণে আখরোট খাওয়া হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে, কারণ এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে।

এছাড়া এটি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়, স্মৃতিশক্তি উন্নত করে এবং মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে। আখরোট ইনসুলিনের কার্যকারিতা উন্নত করে, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে। আখরোট খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে, ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। এছাড়া এতে থাকা ভিটামিন ই এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল রাখে। তবে অতিরিক্ত খেলে ওজন বৃদ্ধি কিংবা হজমের সমস্যা হতে পারে, তাই প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

আখরোট হাড় মজবুত করে 

আখরোটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম এটি শরীরের হাড় মজবুত করতে খুবই উপকারী। ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা না থাকলে ৩০ এর বেশি বয়সী মহিলাদের জন্য হাড় মজবুত রাখতে এটি অনেক ভালো কাজ করে।

আখরোটে আছে আলফা লিনো লেলিন এসিড নামে একটি প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড। এই এসিড হারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে সেই সঙ্গে আখরোটে থাকা ও মেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড হারকে ভালো রাখে।

হৃদযন্ত্র  ভালো রাখে

সুস্থ থাকার জন্য হৃদযন্ত্র বা হার্ট ভালো রাখার বিকল্প নেই। আর আপনাকে এই কাজে সাহায্য করতে পারে আখরোট। এতে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের জন্য উপকারী। এই বাদামের মধ্যে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিড রয়েছে।

আখরোট-খাওয়ার-উপকারিতা

আপনি যদি প্রতিদিন কয়েকটি করে আখরোট খান তবে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করবে। এটি আমাদের শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরলের বাড়াতে সাহায্য করে তাই হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে নিয়মিত আখরোট খান। 

মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে

মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নয়ন করতে সাহায্য করে আখরোট। এ বাদামে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড রয়েছে, যা মস্তিষ্কের উন্নতি ও মেধা শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।মস্তিষ্কের কোষকে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে, স্মৃতিশক্তি বাড়ে এবং নিউরোলজিক্যাল আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।

আখরোট দেখতে কিন্তু অনেকটা আমাদের মস্তিষ্কের আকৃতির মত। এ বাদাম আমাদের মস্তিষ্কের বিকাশেও সাহায্য করে। তাই নিয়মিত আখরোট খেতে পারেন।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়

মরণঘাতি রোগ ক্যান্সার থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে আখরোট। এতে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, ইউরোলিথিন অ্যান্টি ক্যান্সার বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ। তাই স্তন কোলন এবং প্রোটেস্ট রোধে বড় ভূমিকা রাখে আখরোট। আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর ক্যান্সার রিসার্চ জানিয়েছে আখরোট খেলে তা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
আখরোটে থাকা ফাইবার হজমপ্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঘটায়। এই উপকারী ব্যাকটেরিয়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানগুলো শরীর থেকে বের করে দিতে সহায়তা করে। বিশেষ করে কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে এই দিকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ খাদ্যনালীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য রক্ষা এই ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে নির্ধারণ করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী না হলে যে কোন অসুখের বিরুদ্ধে লড়াই করা কঠিন হয়ে যায়। করোনা মহামারীর এই সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর প্রতি আমরা একটু হলেও মনোযোগী হয়েছি। এ কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে আখরোট। এতে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট ইমিউন সিস্টেমকে ঠিক রাখে।আখরোটে আছে ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ যেমন তামা এবং ভিটামিন বি সিক্স যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। তাই নিয়ম করে প্রতিদিন আখরোট খাওয়া দরকার। 

আখরোটে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনও থাকে, যা কোষ গঠনে এবং রোগ প্রতিরোধক অ্যান্টিবডি তৈরিতে সাহায্য করে। অ্যান্টিবডি হলো এমন একটি উপাদান, যা দেহে প্রবেশ করা রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। তাই নিয়মিত পরিমাণমতো আখরোট খাওয়া দেহে পর্যাপ্ত প্রোটিন সরবরাহ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী রাখে।

ভালো ঘুমের জন্য উপকারী 

আখরোটে আছে পটাশিয়াম, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম আয়রনের ঠাসা আখরোট হজম শক্তিতে বাড়িয়ে দিতে সুবিধা করে দেয়। আর উন্নত হজম শক্তি ভালো ঘুমের সাহায্য করে। এতে থাকা মেলাটোনিন ভালো ঘুমের জন্য সহায়ক। আখরোটে উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফেটে অ্যাসিড রক্তচাপকে কম রাখে এবং স্ট্রেস উপশম করে।

সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আখরোট খেলে ভালো ঘুম হয়। অনিদ্রার সমস্যা থাকলে আখরোট রাখুন খাবারের তালিকায়। 

ওজন ব্যবস্থাপনায় সাহায্য করে

আখরোটে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, কপার ও জিঙ্ক রয়েছে। নিয়মিত আখরোট খেলে বিপাক ভালো হয়। যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া আখরোট পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি দীর্ঘ সময় পেট ভরা অনুভূত হতে সাহায্য করে, ফলে বেশি খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।উচ্চ চর্বি থাকা সত্ত্বেও, আখরোট ওজন নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে পারে। আখরোট ফাইবার, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং প্রোটিনের সংমিশ্রণ পূর্ণতার অনুভূতিকে উন্নত করতে পারে, যা সম্ভাব্যভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে করে। উপরোক্ত আখরোট পুষ্টি বিপাক বাড়াতে এবং চর্বি পোড়াতে সহায়তা করে।

আখরোট অতিরিক্ত খেলে উল্টো ওজন বাড়তে পারে। তাই প্রতিদিন ৫-৭টি আখরোট যথেষ্ট। এটি একা খাওয়া যায় অথবা সালাদ, ওটস বা স্মুদি-তে মিশিয়ে খাওয়া যায়, যাতে সুষম পুষ্টি পাওয়া যায় এবং খাবারে বৈচিত্র্য আসে।সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত শরীরচর্চা এবং মানসিক প্রশান্তির পাশাপাশি আখরোটকে ডায়েটে যুক্ত করলে তা ওজন নিয়ন্ত্রণে কার্যকরভাবে সাহায্য করতে পারে। এটি একটি সহজলভ্য, প্রাকৃতিক ও পুষ্টিকর উপাদান যা দীর্ঘমেয়াদে ওজন ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে একটি মূল্যবান অংশ হতে পারে।

টাইপ টু ডায়াবেটিস পরিচালনায় সাহায্য করতে পারে

একটি সুষম খাদ্যে আখরোট অন্তর্ভুক্ত করা টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপকার করতে পারে। এ বাদামে কার্বোহাইড্রেট কম এবং ফাইবার কন্টেন্ট বেশি যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নয়ন করতে সাহায্য করতে পারে। উপরন্ত আখরোটে পাওয়া স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং উদ্ভিদ যৌগগুলি ভালো গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে অবদান রাখতে পারে।প্রদাহ কম করতে পারে যার ডাইবেটিস পরিচালনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

চিকিৎসকরা বলেন যে, যে কোন ধরনের বাদামী ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। বিশেষত যারা নিয়মিত আখরোট খান তাদের টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় অনেকটাই কম হয়।

আখরোট মানসিক চাপ কমায়

অনেক মানুষ যখন মানসিক চাপে ভোগেন, তখন তাদের খাওয়ার অভ্যাসেও পরিবর্তন আসে। কেউ কেউ অতিরিক্ত খেতে শুরু করেন, আবার কেউ খাওয়া একেবারে কমিয়ে দেন। এই ধরনের পরিস্থিতিতে একটি স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হিসেবে আখরোট গ্রহণ করলে তা শরীরে পুষ্টি সরবরাহের পাশাপাশি মনের ভারসাম্যও রক্ষা করতে সাহায্য করে। আখরোট সহজে বহনযোগ্য এবং যেকোনো সময় খাওয়া যায়, তাই এটি একটি সুবিধাজনক খাদ্যবস্তু।
আখরোট-খাওয়ার-উপকারিতা

আখরোট একটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক উপাদান যা আমাদের মানসিক চাপ কমাতে পারে। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অংশ হিসেবে ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, ধ্যান এবং পুষ্টিকর খাদ্যের সঙ্গে সঙ্গে আখরোটকে অন্তর্ভুক্ত করলে তা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদে সুফল বয়ে আনতে পারে। তাই আজ থেকেই আখরোটকে আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করুন এবং নিজেকে দিন মানসিক চাপমুক্ত, শান্তিপূর্ণ একটি জীবনযাত্রার উপহার।

আখরোটের অপকারিতা

আখরোট পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য উপাদান হলেও, অতিরিক্ত বা অযথাযথভাবে গ্রহণ করলে এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। অনেক সময় আমরা মনে করি, যেহেতু এটি প্রাকৃতিক এবং পুষ্টিকর, তাই যত বেশি খাওয়া যায় ততই ভালো। কিন্তু এই ধারণা পুরোপুরি সঠিক নয়। প্রতিটি খাবারেরই কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে, আখরোটও এর ব্যতিক্রম নয়।

যে কোন খাবারই প্রয়োজন এর অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়। কারণ তাতে শরীরে পুষ্টি উপাদান গুলো বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে তাই অন্যান্য খাবারের মতোই আখরোটও প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা আপনি যদি আখরোট বেশি খেয়ে ফেলেন তবে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন-
  • এলার্জি হতে পারে
  • লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে
  • কালো আখরোটে থাকা ফাইটেটস শরীরের আয়রন চুষে নিতে পারে ফলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা যেতে পারে।
যেকোনো খাবারের মতো আখরোটেরও ভালো এবং খারাপ দিক দুটোই আছে। এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর হলেও, অতিরিক্ত বা অসতর্ক ব্যবহারে তা শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য আখরোট খাওয়ার সময় পরিমাণ ও ব্যক্তিগত শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে নেওয়াই শ্রেয়। যাদের কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা আছে বা বিশেষ ধরনের ওষুধ গ্রহণ করছেন, তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আখরোট খাদ্যতালিকায় যুক্ত করা উচিত।

আমাদের শেষ কথা

আখরোট একটি সত্যিকারের সুপার ফুড। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং হার্টের স্বাস্থ্যকে সমর্থন করার থেকে শুরু করে ওজন ব্যবস্থাপনার প্রচার এবং প্রদাহ কমাতে এ পুষ্টি ঘন বাদামগুলি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। 

তাই আমাদের দৈনন্দিন খাবার তালিকায় আখরোট রাখা অত্যন্ত জরুরী প্রতিদিন সকালে কিংবা রাতে ঘুমানোর আগে আখরোট খেলে ভালো হয়। পুষ্টিবিদরা বলেছেন, আখরোট পানিতে ভিজিয়ে খাওয়া ভালো। তবে দুধ কিংবা মধুর সঙ্গে আখরোট খাওয়া যেতে পারে। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের নিয়মিত পাঁচটি আখরোট খাওয়াতে যথেষ্ট বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url